গাজী মুসলিম আদর্শ সংবাদ

সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা অজান্তে গীবত, পরনিন্দা করে থাকি। আমাদেরকে সতর্ক সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।

ছবি
♦️👉সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে অজান্তেই মানুষ সারাক্ষণ #গীবত ও পরনিন্দা করে থাকেন সাবধান, সতর্কতাঃ সচেতন হউন। ♦️ গীবত ও পরনিন্দা করার অভ্যাস যুগ যুগ ধরে পৃথিবীতে ছিল এবং আজও আছে। বলাই বাহুল্য যে থাকবে। কিন্তু লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন যে, ফেসবুকে যেন এই পরচর্চা ও গীবত করা মানুষের সংখ্যা মারাত্মক রকম বেশি। ♦️ফেসবুকে ঢুকলেই দেখা যায় কিছু মানুষ সারাক্ষণ এটা-ওটা-সেটা নিয়ে পরচর্চা করছেন। এর-তার নিন্দা করছে, এর সমালোচনা করছে, অমুকের বদনাম ছড়াচ্ছে। এই ধরণের মানুষদের কাছে যেন পৃথিবীর সবাই খারাপ। কেউ তার চোখে ভালো না, কেউ তার প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য না। ♦️তাহলে গীবত বা পরনিন্দা করা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্য অপরাধ। কোনো ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার দোষ-ত্রুটি আলোচনা করার নামই গীবত। চাই তা কথা, ইশারা-ইঙ্গিত বা লেখনীর মাধ্যমে হোক, কিংবা সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে মাধ্যমে । ________________________________♦️শুনুন মহান আল্লাহ তাআলা কুরআন কারিমে এরশাদ করেন: •‘হে মুমিনগণ! তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাকো। নিশ্চয়ই কতক ধারণা গোনাহ। কারো গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারো পশ্চাতে নিন্দা না করে। ...

আজহারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইমুম আল মাহাদী মিজানুর রহমান আজহারী এর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি।

মোহতারাম শ্রদ্ধেয় সিনিয়র বড় ভাই!
সালাম নিবেন।

আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের আপনার প্রিয় আবাসিক ক্যাম্পাস, মাদিনাতুল বুয়ুস আল ইসলামিয়্যাহর আপনার স্মৃতিময় আবাসিক ভবনটির নিচে দাড়িয়ে দুটি কথা আপনার সমীপে।
নিশ্চয়ই ভালো আছেন, দোয়া করি সর্বদা।
মোহতারাম! আপনি জানেন যে, 

فقه العبادات المقارن
و قضيا فقهية معاصرة 
ইসলামী শরীয়াহর এই সাবজেক্ট দুটি শুধুমাত্র আপনি, আমি, আমরা যারা ইসলামী ফিকহ নিয়ে পড়াশোনা, গবেষণা করি তাদের জন্য। (আম জনতার জন্য নয়।) 

 আপনি নিশ্চয়ই দেখবেন, (فقه المقارن) এর ক্ষেত্রে কোনো ইফতেলাফি মাসায়েলে বিভিন্ন মাজাহেবের ইমামগন পক্ষে বিপক্ষে অনেক মতামত, উসূলের আলোকে যুক্তি, তর্ক আবার যুক্তি খন্ডন উপস্থাপন করে থাকেন। শেষের দিকেও কওলুর রাজে বা সর্বশেষ গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তটি সুস্পষ্ট ভাবে যুক্তির আলোকে মুসান্নিফ উল্লেখ করে দিয়েছেন।

এখন কথা হল, আমি বা আপনি যদি ইমামদের এই সমস্ত ইফতেলাফগুলো পাবলিক প্লেসে বলি অথবা সর্বশেষ কওলুর রাজেটা সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ না করি অথবা উক্ত মাসায়েলে মাজহাবের চূড়ায় সিদ্ধান্ত যদি এড়িয়ে যাই তাহলে এই আম জনতাতো ঘোলা পানিতে হাবুডুবু খাবে।

আপনি তো আযহারে পড়েছেন। এখানের শাইখদের মানহাজ তো আপনি আমার থেকে অনেক ভালো জানেন। "মাজহাবিউল ফিকহ” তথা ফিকহ হবে মাজহাব কেন্দ্রীক। সালাফিজম নয়। 

আপনি চমৎকার করে সব বিষয়গুলো উপস্থাপন করে থাকেন। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রেও এই সব বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে থাকেন।

কিন্তু মোহতারাম বড় ভাই!
 আমাদের দেশের অধিকাংশ যেহেতু হানাফী মাজহাবকে অনুসরণ করে, সেহেতু আমরা যদি শুধু হানাফি ফিকহ ও মাসায়েলগুলো বর্ননা করি তাহলে কি দাওয়াতের এই প্লাটফর্মে যথেষ্ট নয়?

আপনি, আমি জানি যে, মিশরে কোরআন শরীফ দেখে কোনো কোনো মাসজিদে বা ইমামগন সালাহ পড়ে থাকেন। অথবা আমাদের ক্যাম্পাসের অন্য মাজহাব অনুসারীরা নামাজে হাত ছেড়ে দিয়ে দাড়ায়... ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়গুলো তো আমাদের হানাফী মাজহাবে বৈধতা দেওয়া হয়নি। আর বাঙালি তো বুঝবে না। সেটা আপনি ভালো করেই জানেন।

তাহলে প্রিয় শাইখ, বড় ভাই আমার!
আমরা কেন মানুষদের বিতর্ক করার সুযোগ তৈরি করে দিবো? মাসায়েলে হানাফিকে একটু প্রমোট করা যায় না?

দোয়া করি। আল্লাহ আপনার সুদীর্ঘ হায়াত দারাজ করুন। মিশরে আপনাকে দেখতে চাই। ইনশাল্লাহ আবার আসবেন আপনার প্রিয় ক্যাম্পাসে।

আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি ছাত্রদের আবাসিক ক্যাম্পাস, 
মাদিনাতুল বুয়ুস আল-ইসলামিয়্যাহ থেকে,

সাইমুম আল-মাহদী
(স্কলারশীপ) 
ইসলামী শরীয়াহ ডিপার্টমেন্ট,
আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো-মিশর।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শুক্রবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক,, মসজিদে ২ জন হাফেজসহ মোট ১২ জন তারাবির নামাজ পড়তে পারবেন: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী